Hot Posts

6/recent/ticker-posts

কিভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেশনাল কোর্সে ভাল ফলাফল করবেন ?

 Facebook

কিভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেশনাল কোর্সে ভাল ফলাফল করবেন ?

অনেকেই প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তি হওয়ার ২-৩ টা সেমিস্টার শেষ করার পর নিজেদের পরীক্ষার রেজাল্ট দেখে হতাশ হয়ে পড়েন । তাদের উদ্দেশে বলছি এখানে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই .১ম ১ম সবারই এমন হয় তবে আপনি যদি ভালো রেজাল্ট করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন তাহলে অবশ্যই ভাল করতে পারবেন ইনশাল্লাহ । অনেকেই বলেন ভাইয়া আমার অমুক সেমিস্টার রেজাল্ট তো ২.৬০ আসছে অথবা আমার ২.৪০ আসছে আমি কীভাবে সিজিপিএ ৩.০০(ন্যূনতম first class) নিব । আমরা আপনাদের ১ টা সহজ উপায় বাতলে দিতে পারি যদি আপনারা ভালো রেজাল্ট করতে চান । তাহলঃ প্রথমত, প্রফেশনাল বিবিএ তে ৪ বছরে ৮ টা সেমিস্টার । দ্বিতীয়ত , আপনার যদি ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.০০ পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ৮ টি সেমিস্টারেই ৩.০০ পেতে হবে(এর চেয়ে বেশী পেলে তো আরও ভাল) । ধরুন আপনি ১ম,২য়,৩য় সেমিস্টারে পেলেন যথাক্রমে ২.৬০,২.৪০ এবং ২.৮০ । তাহলে আপনার ১ম,২য়,৩য় সেমিস্টারে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.০০ করতে হলে আপনার ঘাটতি পয়েন্ট যথাক্রমে .৪০ , .৬০ এবং .২০ । এই পয়েন্ট গুলো যদি যোগ করতে পারতেন তাহলে আপনি হয়তো মনে মনে ভাবছেন ইশ আমার সিজিপিএ পয়েন্ট ৩.০০ অবশ্যই আসতো । এখন আপনার এই ঘাটতি পূরণ করার জন্যই আপনার অবশ্যই পরের সেমিস্টার গুলোতে ভালো ভাবে পড়ালেখা করতে হবে আপনার টার্গেট থাকতে হবে আপনি যাতে পরের সেমিস্টার গুলোতে কোনভাবেই ৩.০০ এর বেশী রেজাল্ট করেন । আপনি যদি ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ সেমিস্টারে সিজিপিএ ৩.৪০, ৩.৬০, ৩.২০ করে নিতে পারেন অথবা এর থেকেও বেশী নিতে পারেন তাহলে আপনাদের প্রত্যেক টা সেমিস্টারে গড়ে সিজিপিএ ৩.০০ থাকবে । সিজিপিএ গড় বের করার নিয়মঃ [টোটাল ৮ টা সেমিস্টারের ফলাফলের যোগফল ÷ ৮ = টোটাল সিজিপিএ রেজাল্ট ] যেমনঃ আপনি ১ম থেকে ৮ম সেমিস্টার পর্যন্ত যথাক্রমে পেলেন সিজিপিএ ৩.০৫ , ২.৮০, ৩.৪০, ২.৯৫,৩.৬০,২.৬০,৩.৭০,৩.৩৫ । এই ৮ টা সেমিস্টারের যোগফল হল (৩.০৫+ ২.৮০+৩.৪০+২.৯৫+৩.৬০+২.৬০+৩.৭০+৩.৩৫)= ২৫.৪৫ পয়েন্ট । এখন , ২৫.৪৫ পয়েন্ট ÷ ৮ সেমিস্টার = ৩.১৮( ন্যূনতম first class) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেডিং পদ্ধতিঃ * 80-100 = A+ = 4.00 = 1st class বা প্রথম বিভাগ * 75-79 = A =3.75 = 1st class * 70-74 = A- = 3.50 = 1st class * 65-69 = B+ = 3.25 = 1st class * 60-64 = B = 3.00 = 1st class * 55-59 = B- = 2.75 = 2nd class বা দ্বিতীয় বিভাগ * 50-54 = C+ = 2.50 = 2nd class * 45-49 = C = 2.25 = 2nd class * 40-44 = D = 2.00 = 3rd class বা তৃতীয় বিভাগ এখন অনেকেই বলবেন ভাইয়া আমরা অনেক চেষ্টা করছি তবুও রেজাল্ট ভাল হচ্ছেনা । তাদের উদ্দেশে বলছি যদি ভাল লাগে অনুসরন করে দেখতে পারেন তাহলঃ ১) আপনার হাতের লেখা সুন্দর করতে পারেন , ২) আপনি Full Ans. করার অবশ্যই চেষ্টা করবেন সেটা যেভাবেই হোক বানিয়ে হলেও । ৩) বেশী করে লিখে আসবেন যেকোনো প্রশ্নের উত্তর । শুনতে আপনাদের যদিও অস্বাভাবিক লাগছে কিন্তু এটাও কিন্তু বাস্তব সত্য কারণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়য়ের অনেক টিচারই খাতা কাটার সময় কার পরীক্ষার খাতা কত মোটা সেটা দেখেই নাম্বার দেন । লক্ষ্ লক্ষ পরীক্ষার্থীর খাতা অনেক সময় অল্প সংখ্যক টিচার নির্দিষ্ট সময়ে দেখার সময় পান না তখন অধিকাংশ টিচার এই নিয়ম টি ফলো করে থাকেন । ৪) নিজে নোট করবেন , ৫) আপনার মত ভাল রেজাল্ট করতে চায় এইরকম পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গির বন্ধুদের সাথে গ্রুপ স্টাডি করতে পারেন , ৬) পড়ার টেবিলে সময় দিন , নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গির বন্ধুরা কে কি বলল কানে দিবেন না । ৭) আপনি থিউরিটিকাল সাবজেক্ট গুলোকে বেশী জোড় দিন কারণ প্রত্যেক টা সেমিস্টারে অন্তত পক্ষে ২ টা থিউরিতিকাল সাবজেক্ট থাকে যেগুলো আপনি সেমিস্টারের ১ম থেকেই একেবারে পড়ে ঝালাই করতে পারেন । আপনি যদি অন্তত ২ টা থিউরিতিকাল সাবজেক্টে A+ পান তাহলে বাকি ৩ টা সাবজেক্ট থেকে সিজিপিএ ৩.০০ পাওয়া কোন ব্যাপারই না । ৮) আপনার মেথ এর সাবজেক্ট গুলোর ৩০ মার্ক এর থিউরি থাকে ঐ গুলো ঝালাই করে ফেলেন নতুন সেমিস্টার শুরু হওয়ার পর থেকে । কারণ অধিকাংশ স্টুডেন্ট দেখা যায় সারাবছর ৪০ মার্ক এর মেথ নিয়ে প্রাইভেট , গ্রুপ স্টাডি , নোট , ক্লাস এই সেই করে সময় ব্যয় করে এবং ভাবে ধুর!!! থিউরি পরীক্ষার আগে পরলেই হবে এটা আবার এমন আহামরি কি জিনিস । কিন্তু পরীক্ষার পর দেখা যায় আপনি ফুল আনসার করেছেন (৪০ মার্ক মেথ ১০০% ঠিক ভাবে দিয়েছেন আর বাকি ৩০ মার্ক থিউরি হাল্কার উপর ঝাপসা বানিয়ে টানিয়ে লিখে দিলেন) কিন্তু হায়!!! রেজাল্ট ভাল আসলো না তখন আপনি সব দোষ দিলেন যে পরীক্ষার খাতা কাটছে তারউপর(পরিক্ষক গাঁজা খেয়ে খাতা কাটছে , পরীক্ষক ভালো না, ফালতু ভার্সিটি , আমার কপাল খারাপ হ্যাঁন তেন ইত্যাদি ) । ঠিক একই ভাবে পরের সেমিস্তারেও আপনি একই ভুল করলেন ফলাফল দেখা গেল শুন্য কোন উন্নতি নাই রেজাল্টের । ৯) যেসব কলেজে ক্লাসে উপস্থিতি দেখে ৩০ মার্ক দেয় সেসব কলেজের ছাত্রছাত্রী রা ক্লাসে ন্যূনতম ৭০% উপস্থিত থাকার চেষ্টা করুন । ১০) সর্বোপরি সৃষ্টিকর্তার কাছে সর্বদা প্রার্থনা করতে থাকুন আর চেষ্টা করতে থাকুন । আপনি কি পড়ছেন কীভাবে পড়ছেন কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেটা অন্য বন্ধুদের কাছে সহজে প্রকাশ করবেন না কারণ এটা শুনতে অস্বাভাবিক লাগ্লেও বাস্তব সত্য হল এটা ক্লাসের ফার্স্ট বয়/গার্ল দের অন্যতম ১ টা গুণাবলী , আপনি আপনার পড়ার কৌশল যত গোপন রাখবেন ততবেশী আপনার রেজাল্ট ভাল করার জেদ থাকবে , আপনার ফোকাস সঠিক জায়গায় থাকবে , আপনি বুঝতে পারবেন অন্যদের থেকে আপনার অবস্থান কোথায় কতদূর আগে না পড়ে । 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ