Hot Posts

6/recent/ticker-posts

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেশনালঃ ECE নিয়ে কিছু কথা-


ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ECE) / ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং(ETE)/ ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং(APECE)
৩ টা বিষয় সম্পর্কে একসাথে লিখলাম – কারণ এদের মাঝে মিল অনেক। মিলগুলো যেমন জানা জরুরি তেমনি কোন কোন জায়গায় অমিল সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করব।
বিশ্বের অন্যতম পুরনো ও প্রথমদিকের ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের নাম বললে চলে আসে EEE- এর কথা। সেই EEE এর থেকেই ECE এর উৎপত্তি । আর ইটিই হল ETE এর এ একটা অংশ ।
ECE বিষয় নিয়ে আগে বলি। এই বিষয়ের CORE COURSE হল ELECTRONICS AND COMMUNICATION । ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই জানি । সমস্যা হয় কমিউনিকেশন এর বেপারটা মাথায় ঢুকে না। ECE এর কোর্স এ প্রথম দিকে থাকে ব্যপকভাবে ELECTRONICS এর কোর্স। এক সময় COMMUNICATION এ প্রবেশ করবা। ELECTRONICS এর জ্ঞান ছাড়া COMMUNICATION সম্ভব না। ELECTRONICS এর BASIC Clear না থাকলে ETE/ECE/APECE কোনটাতেই সুবিধা করা যায় না।
Communication part তুলনামূলক সহজ এবং Communication Sector এ কাজ করতে গেলেও দক্ষতা লাগবে সেই Electronics এর।
একজন ছাত্র ECE তে সাধারণত যে কোর্সগুলো পরে থাকে [ কোর্সগুলোর নাম এ সামান্য বিভিন্নতা থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে]
1.ANALOG ELECTRONICS; 2. DIGITAL ELECTRONICS; 3.ELECTRICAL MACHINES AND MEASUREMENTS; 4. ELECTRICAL CIRCUIT ANALYSIS; 4. ENGINEERING ELECTROMAGNETIC AND ANTENNA THEORY 5.INDUSTRIAL AND POWER ELECTRONICS ; 6. RADIO AND TELEVISION ENGINEERING; 7.ADVANCED ELECTRONIC CIRCUITS; 8.ELECTRONIC DEVICES 9.OPTICAL FIBER COMMUNICATION; 10. MICROWAVE AND SATELLITE COMMUNICATION; 11. DIGITAL SIGNAL PROCESSING; 12. SCIENTIFIC, INDUSTRIAL AND BIO MEDICAL INSTRUMENTATION; 13.SEMICONDUCTOR AND VLSI TECHNOLOGY; 14. COMMUNICATION THEORY; 15. ADVANCED COMMUNICATION THEORY; 16. CONTROL ENGINEERING; 17. MOBILE CELLULAR COMMUNICATION; 18. TELECOMMUNICATION NETWORK.19. MULTI MEDIA COMMUNICATIONS 20. IMAGE PROCESSING
এছাড়াও PROGRAMMING C/C++, MICROPROCESSOR AND ASSEMBLY LANGUAGE, MICRO CONTROLLER, DATA COMMUNICATION AND COMPUTER NETWORK, COMPUTER PERIPHERAL AND INTERFACING, COMPUTER ORGANIZATION AND ARCHITECTURE, RENEWABLE ENERGY TECHNOLOGY, ENGINEERING DRAWING কোর্স গুলো করতে হয় ।
এছাড়া মাইনর কোর্সগুলোর কথা না বললাম।
তাহলে একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে একজন কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারের পার্থক্যটা হল ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের POWER PLANT ENGINEERING, POWER CONVERSION, HIGH VOLTAGE ENGINEERING, POWER PLANT PROTECTION, POWER SYSTEM RELIABILITY, POWER SYSTEM OPERATION AND CONTROL এই কোর্সগুলো মেজর হিসেবে পড়তে হয়- যেটাকে CORE কোর্স বিবেচনা করা যেতে পারে । কিন্তু কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারদের CORE কোর্স হল Communication related Course গুলো।
Electronics একটি দীর্ঘ পথ। আমাদের চারপাশের এমন কিছু নেই যেখানে ইলেকট্রনিক্স নেই। আমাদের কমিউনিকেশনকেও ডেভেলপ করেছে সেই ইলেকট্রনিক্স- ই । কমিউনিকেশন বলতে আমরা যা সোজা বাংলায় বুঝি যোগাযোগ। কিন্তু যোগাযোগ কখন ELECTRONICALLY হবে সেটাকে ধরব ECE হিসেবে। তোমার একটা তথ্য আছে সেটা আরেক জায়গায় TRANSFER করতে হবে। একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ হবে DATA LOSS/ATTENUATION কমানের মাধ্যমে তোমার তথ্যের সঠিক প্রেরণ । সেটার জন্য তোমাকে কখন কোথায় কি উপায় প্রয়োগ করতে হবে সেটা শিখান হবে ECE তে। একটা সময় ছিল মোবাইল এ কথা বলতে খরচ ছিল মিনিটে ১০ টাকা। এখন ১০ পয়সা। এটা সম্ভব হয়েছে টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের উন্নতির কারনে। একসময় ছিল ইন্টারনেট ব্যবহার ছিল কল্পনার ব্যপার। এটা এখন সবার কাছে সবচেয়ে সহজ ব্যাপার। কারণ FIBER OPTIC COMMUNICATION সহ কমিউনিকেশন এর উন্নতির কারণে।
তবে এর মানে এই না যে তাহলে সব তো হয়েই গেছে- আমি পড়ে কি করব? মনে রাখবা একজন কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারের কাজ কখনও শেষ হয় না। এখন পর্যন্ত BENDING LOSS, DISPERSION এগুলো কমানো সম্ভব হয়েছে তবে অনেক INFORMATION এখনও LOSS এখনো যথেষ্ট কম না। আর এসব নিয়ে কাজ এখনও হয়ে যাচ্ছে । ভবিষ্যতে আরও হবে।
EEE এর ছাত্র হিসেবে প্রথম লক্ষ্য থাকে কিভাবে বিদ্যতের উতপাদন বাড়ানো যায়? আবার Communication Engineer হিসেবে কাজ করলে লক্ষ্য থাকে কিভাবে বিদ্যতের অপচয় কমান যায় বিভিন্ন সিস্টেমের মাঝে কমিউনিকেশন এর সময়।
ETE বিষয়টা প্রকৃতপক্ষে MOBILE COMMUNICATION কে বোঝায় । এখানে এটার প্রতি ভালভাবে FOCUS করা হায়। তবে প্রায় সব কোর্সই এক। তবে যখন একজন SATELLITE এর উপর কাজ করবে, NASA/ কোন কম্পানির RADAR PROJECT এ কাজ করবে তখন ECE র ই কিন্তু প্রাধান্য বেশি ।
বাংলাদেশে কুয়েটে ECE, রুয়েটে ETE, চুয়েটে ETE, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে APECE, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ECE, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে APECE ও NSU তে ETE ছাড়াও বেশ কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়টি পরানো হয় ।
এবার ফলিত পদার্থবিজ্ঞান( APPLIED PHYSICS)এর কথায় আসি। এটা পদারথবিজ্ঞান থেকে উৎপত্তি তবে বেশ দূর সম্পর্কের আত্মীয় । পদার্থবিজ্ঞান কে ইঞ্জিনিয়ারিং ফিল্ড এ APPLY করার SYSTEM নিয়ে কাজ করে APPLIED PHYSICS. কিন্তু বলতে গেলে যদিও এখন ও বহিরবিশ্বে ৪ বছর ফলিত পদার্থবিজ্ঞান পড়ান হয় বাংলাদেশে এটা ১ বছর ও টার সামান্য বেশি পড়ান হয়- মেজর কোর্সগুলো ঠিক রেখে। বাকি ৩ বছর ECE এর উপরই FOCUS করা হয়। APECE তে পড়ার সময় আমাদের অনেক ছাত্র/ছাত্রীদেরই কিছু Specific field of interest তৈরি হয়ে যায়। জরুরি নয় যে ফলিত পদার্থ নিয়েই হতে হবে। সিনিয়র ভাইয়া/আপুদের দেখে/ শিক্ষকদের কথা শুনে সবাই নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে দেখা যায় কাজ করতে/ ভবিষ্যতে গবেষণা করতে আগ্রহী যা চাকুরি ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ গবেশনার জন্য পথ সুগম করে। ৪ বছরের একাডেমিক কারিকুল্যাম এর পাশাপাশি নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ি Semiconductor Technology/ Bio Medical Technology/ Energy System Engineering/ Image/Signal Processing/ Nano Technology/ Robotics/ Astro Physics/ Renewable Energy ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে যদিও সুযোগ স্বল্পতা সব সময়ই থেকে যায়। সকল বিষয়ে কাজ তুমি একা করতে পারবেনা, নিজেকে নিজের ইচ্ছা আগে বুঝতে হবে। সত্যি কথা বলতে গেলে, Semiconductor ই এমন এক বিষয় যে তুমি সারা জীবন এর সাথে কাজ করে যাবে কিন্তু শেষ হবেনা।
RESEARCH AREAS: [ ECE/ETE/APECE]
ELECTRONICS, COMPUTER NETWORKS, TELECOMMUNICATION, WIRELESS COMMUNICATION, CELLULAR AND SATELLITE COMMUNICATION, SEMICONDUCTOR TECHNOLOGY AND DEVICES, RENEWABLE ENERGY TECHNOLOGY, INTELLIGENT SYSTEM ENGINEERING, DIGITAL SIGNAL PROCESSING, SOLID STATE DEVICE NETWORKING, INSTRUMENTATION, ROBOTICS, BIOMEDICAL TECHNOLOGY, NANO TECHNOLOGY, (SEMICONDUCTOR TECHNOLOGY, QUANTUM MECHANICS, QUANTUM OPTICS, QUANTUM THERMODYNAMICS, OPTO-ELECTRONICS, SEMICONDUCTOR TECHNOLOGY AND MANY MORE. ETC.
# HIGHER FIELD OF STUDIES FROM [ ETE/ECE/APECE]
M.S/ M.PHILL/PHD IN EEE, CSE. MICROWAVE/ SATELLITE ORIENTED COMMUNICATION, NUCLEAR ENGINEERING, ROBOTICS, BIOMEDICAL PHYSICS, THEORETICAL PHYSICS, PHYSICS, ASTROPHYSICS, ENERGY SYSTEM ENGINEERING, RENEWABLE ENERGY TECHNOLOGY, MICROELECTRONICS, NANO ELECTRONICS, CONTROL SYSTEM ENGINEERING ETC.
CAREER OPPORTUNITIES:
# TELECOMMUNICATION AND MOBILE COMPANIES
# WIMAX AND BROADBAND TECHNOLOGY COMPANIES
# BANGLADESH RADIO (RADIO ENGINEER) (*)
# BCS TELECOM CADRE
# SCIENTIFIC OFFICER AT BAEC (*)
# SCIENTIFIC OFFICER, BCSIR (*)
# BCS ECONOMIC CADRE( ASSISTANT CHIEF)
# PETRO BANGLA ( ASSISTANT MANAGER, ELECTRONICS)
# SOFTWARE COMPANIES AND NETWORKING
# BIO MEDICAL INSTRUMENTATION ENGINEER
# GENERAL CADRE SERVICE, PSC (BCS)
# IN ABROAD- COMMUNICATION ENGINEER IN TELECOM AND SATELLITE SECTOR AND WIRELESS COMMUNICATION, MICROWAVE ENGINEER.
বর্তমানে বেশিরভাগ শিক্ষার্থিদের প্রথম লক্ষ্য থাকে গ্র্যাডুয়েশন শেষ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য বাহিরে যাওয়া।উচ্চ শিক্ষার জন্য যেসব বিষয়/ বিভাগকে আমরা অনেকেই গুরুত্ব দেই তার বেশিরভাগই ECE/ETE/APECE এর সাথে related. Nano Technology/ Energy System Engineering/ Bio-Medical Engineering/ Communication Engineering/ Image Processing/ Control Engineering এ Switch করার জন্য বিষয়গুলো বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ।উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সব সময় থিসিস/ গবেষণা Compulsory হিসেবে থাকে।তাই, শুধু ৪ বছর থিওরি পড়ে পাশ করলেই হবে না, নিজের দক্ষতা তাদের কাছে প্রকাশের জন্য যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে। তাই স্নাতক পড়ার সময় উচিত হবে নিজেদের পছন্দের বিষয়গুলো ঠিক করে নেয়া সেভাবে প্রস্তুতি নেয়া।
এবার বেতন এর কথা একটু বলি। এটা আমার বলা লাগবেনা যে বাংলাদেশ এর যোগাযোগ সেক্টর কতটা পিছিয়ে। যখন এয়ারটেল থেকে বিটিসিএল এ ফোন করা হয় তখন ৫ বার নেটওয়ার্ক এরর হয়। এটা হবে না যদি ECE/ETE এর যথেষ্ট উন্নতি হয়। আর কিছু প্রকৌশলবিদ্যার মত ECE/ ETE/ APECE ও সুবিধা থেকে যথেষ্ট বঞ্চিত। নিজেদের অর্জিত জ্ঞানকে এদেশে কাজে লাগানোর সুবিধা এদেশে কম, কিন্তু নেই- এই কথা কখনই সত্য না। কম এই জন্য, কারন জনশক্তি থেকে সুযোগ কম। টেলিকম কোম্পানি ছাড়াও WIMAX COMPANY গুলো ECE/ETE/APECE GRADUATES দের জব অফার করে থাকে SYSTEM ENGINEER/ NETWORK ENGINEER হিসেবে। তবে যদি একটু বাহিরের দিক টাকাই তাহলে আমার না বললেও চলবে। ভারতেই এখন ECE এর চাহিদা কল্পনাতীত । সেখানে সরকারি ইঞ্জিনিয়ার কোটাতেও ECE ছাত্ররা কোটা পায়। UK তে একজন কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার এর বেতনের হিসাবটা দেখে আস এখান থেকে- [HTTP://WWW.PROSPECTS.AC.UK/]
ECE থেকে নিজেদের পছন্দমত বিভাগে চলে যাওয়া যায়, সেগুলোর প্রত্যেকটিই ওয়ার্ল্ড এর নতুন ও আকর্ষণীয় বিষয়।
এসব কিছুই তোমার সম্ভব- যদি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে সেখান থেকে একটা ভাল CGPA ও দক্ষতা (EXCELLENCE) নিয়ে বের হতে পার । এখন সেই মেধাকে ঝালাই করার সময়। যোগ্যতা দিয়েই সব অর্জন করতে হয়। চাকরিটাও করতে হবে। তাই নিজের মেধাকে কাজে লাগাও- তোমাকে বলতে হবেনা আমি পাশ করে বসে আছি। যদি নিজের লেভেলটাকে আরেকটু উপরে নেয়া যায় তাহলে হয়ত এমন জায়গায় পৌঁছে যাবে যেখানের কথা চিন্তাও করনাই। তাই প্রথম থেকেই ভাল করে চেষ্টা করে যাও। ECE এর একটা কোর্স আরেকটার সাথে খুব RELATED. তাই প্রত্যেক কোর্সের সময় সেটা ভালমত আয়ত্তে নিবে। যেকোন শিক্ষক এর কাছ থেকেই যা বুঝনা শিখে নিবে। কারণ শিখার সময় কিন্তু মূলত ৪ বছরই। এর পর প্রয়োগ করার। আর যা শুধু নিজের দক্ষতা দিয়েই সম্ভব আর কিছু দিয়ে নয়। একটা কথা না বললেই নয়, কোন বিষয় ভাল/ খারাপ হয় না, সে বিষয়ে তোমার আগ্রহ/ দক্ষতা তোমার শেষ লক্ষে নিয়ে যেতে পারে, তোমার সাফল্য ব্যর্থতা সেটাও বেশরভাগই তোমার উপর বর্তাবে। সবার জন্য সাফল্যের কামনা রইল।
লিখেছেন
WALID-BIN-HABIB
APECE (11-12), DU

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ