☑☑☑আমরা চেষ্টা করি ইন্টারর্ভিউ বোর্ডে নার্ভাস হওয়ার !!!!
কি বলেন সত্যি না মিথ্যা ? অবশ্যই সত্য !!! আসুন আজকে ইন্টারভিউ নিয়ে কিছু কথা বলি । আমাদের ১ম সমস্যা হচ্ছে আমরা এই কারণেই নার্ভাস হই যে স্যার চাকুরী আমার লাগবেই ...উনি যদি আমাকে রিজেক্ট করে দেন হায় আল্লাহ আমি শেষ ...কি হবে আমার কিন্তু ১ টা বারও কি ভেবেছেন আপনার ভালো যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আপনাকে চাকুরীতে নিল না তখন আপনি কি করবেন ??
আসুন এত জটিলভাবে না গিয়ে ১ টা গল্প বলি.........
এক দেশে এক রাজা ছিল তার সুখের কোন অভাবই নাই আর উনার এমন কোন শত্রু দেশ ও নেইযে উনাকে আক্রমন করবে । তো রাজার অলস সময় কাটে যা ইচ্ছা করে । আবার এই দিকে মন্ত্রী সভার সিনিয়র মন্ত্রী অপেক্ষায় আছে কখন রাজাকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করা যায় ।
হটাৎ একদিন অলস রাজার মাথায় আসলো(আজাইরা চিন্তা ভাবনা) রাজ্যের জনগনের কাছে ১ টা সিম্পল প্রশ্নের উত্তর খুঁজবেন যে, মানুষ কিভাবে খাবার খায় ? যে এই প্রশ্নের সবচেয়ে সঠিক উত্তর বলে রাজাকে খুশী করতে পারবে তাকে অর্ধেক রাজত্ব দেয়া হবে এবং রাজকন্যাকেও তার সাথে বিয়ে দেয়া হবে ।
এটা শুনে তো রাজ্যের লক্ষ লক্ষ পুরুষ এমনকি ৯০ বছরের বৃদ্ধও সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে দিনের পর দিন দাড়িয়ে রইলেন যদি একবার পেয়ে যান সেই সোনার হরিণ । সবাই এমন ভাবে ১ টা প্রশ্নের উত্তর কে হাজার হাজার ক্রিয়েটিভ উপায়ে বলার চেষ্টা করলেন কিন্তু কোন উত্তরেই রাজার মন ভরে না । এদিকে সিনিয়র মন্ত্রীর তো বুকের মধ্যে ধড়ফড়ানির শেষ হচ্ছেনা এই বুঝি কেউ রাজাকে সুন্দর উত্তর দিয়ে খুশী করে ফেলল এবং রাজা রাজ্যের অর্ধেক এবং রাজকুমারীকে দিয়ে দিল । সবাই রাজাকে বদ্ধ পাগল বলে বেড়াতে লাগল, দোকানে হাটে বাজারে সবাই বলাবলি করতে লাগল এত বোকা রাজা কিভাবে হয় যার বিন্দু পরিমান কমন সেন্স নাই । এদিকে মন্ত্রীর নাওয়া খাওয়া নেই চিন্তায় টেনশনে ; একপর্যায়ে নিজের মনকে শান্ত করতে না পেরে রাজার কাছে কাছে গিয়ে বললেন মাহারাজ, আপনি এত বোকার মত কাজ কছেন কেন ? এরকম সহজ উত্তরের জন্য কি কেউ রাজ্যের অর্ধেক এবং রাজকুমারীকে দিয়ে দেয় !!!!!
তখন রাজা বললেন আরে বোকা ওরা উত্তর দিলেই কি আমি রাজি হয়ে যাব, যদি আমি ইচ্ছা করেই সন্তুষ্ট না হই তাহলে দুনিয়ার সকল মানুষ সঠিক উত্তর বললেও তো কাজ হবেনা । শর্তে বলে দেয়া আছে আমাকে প্রশ্নের উত্তরটা খুশী করতে হবে এখানে উত্তর সঠিক হওয়া টা গুরুত্বপূর্ণ না । রাজা আরও বললেন আমার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে তো সবাই মিত্র সো আর কি করা যুদ্ধ নাই তাই অলস সময় পার হচ্ছে তাই ভাবলাম আমার দেশের কতজন ছেলে আছে গণনা করে রাখি ।
এবারতো রাজার কথা শুনে মন্ত্রী বোকা হয়ে গেল !!!!
মোড়াল হল লোকে রা যতই আমাকে বুঝাক না কেন আমি যদি নিজের চিন্তাভাবনা আগে থেকেই ফিক্সড করে রাখি তাহলে তো আর আমাকে কেউ তার সিদ্ধান্তে রাজি করাতে পারবেনা ।
কি বলেন সত্যি না মিথ্যা ? অবশ্যই সত্য !!! আসুন আজকে ইন্টারভিউ নিয়ে কিছু কথা বলি । আমাদের ১ম সমস্যা হচ্ছে আমরা এই কারণেই নার্ভাস হই যে স্যার চাকুরী আমার লাগবেই ...উনি যদি আমাকে রিজেক্ট করে দেন হায় আল্লাহ আমি শেষ ...কি হবে আমার কিন্তু ১ টা বারও কি ভেবেছেন আপনার ভালো যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আপনাকে চাকুরীতে নিল না তখন আপনি কি করবেন ??
আসুন এত জটিলভাবে না গিয়ে ১ টা গল্প বলি.........
এক দেশে এক রাজা ছিল তার সুখের কোন অভাবই নাই আর উনার এমন কোন শত্রু দেশ ও নেইযে উনাকে আক্রমন করবে । তো রাজার অলস সময় কাটে যা ইচ্ছা করে । আবার এই দিকে মন্ত্রী সভার সিনিয়র মন্ত্রী অপেক্ষায় আছে কখন রাজাকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করা যায় ।
হটাৎ একদিন অলস রাজার মাথায় আসলো(আজাইরা চিন্তা ভাবনা) রাজ্যের জনগনের কাছে ১ টা সিম্পল প্রশ্নের উত্তর খুঁজবেন যে, মানুষ কিভাবে খাবার খায় ? যে এই প্রশ্নের সবচেয়ে সঠিক উত্তর বলে রাজাকে খুশী করতে পারবে তাকে অর্ধেক রাজত্ব দেয়া হবে এবং রাজকন্যাকেও তার সাথে বিয়ে দেয়া হবে ।
এটা শুনে তো রাজ্যের লক্ষ লক্ষ পুরুষ এমনকি ৯০ বছরের বৃদ্ধও সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে দিনের পর দিন দাড়িয়ে রইলেন যদি একবার পেয়ে যান সেই সোনার হরিণ । সবাই এমন ভাবে ১ টা প্রশ্নের উত্তর কে হাজার হাজার ক্রিয়েটিভ উপায়ে বলার চেষ্টা করলেন কিন্তু কোন উত্তরেই রাজার মন ভরে না । এদিকে সিনিয়র মন্ত্রীর তো বুকের মধ্যে ধড়ফড়ানির শেষ হচ্ছেনা এই বুঝি কেউ রাজাকে সুন্দর উত্তর দিয়ে খুশী করে ফেলল এবং রাজা রাজ্যের অর্ধেক এবং রাজকুমারীকে দিয়ে দিল । সবাই রাজাকে বদ্ধ পাগল বলে বেড়াতে লাগল, দোকানে হাটে বাজারে সবাই বলাবলি করতে লাগল এত বোকা রাজা কিভাবে হয় যার বিন্দু পরিমান কমন সেন্স নাই । এদিকে মন্ত্রীর নাওয়া খাওয়া নেই চিন্তায় টেনশনে ; একপর্যায়ে নিজের মনকে শান্ত করতে না পেরে রাজার কাছে কাছে গিয়ে বললেন মাহারাজ, আপনি এত বোকার মত কাজ কছেন কেন ? এরকম সহজ উত্তরের জন্য কি কেউ রাজ্যের অর্ধেক এবং রাজকুমারীকে দিয়ে দেয় !!!!!
তখন রাজা বললেন আরে বোকা ওরা উত্তর দিলেই কি আমি রাজি হয়ে যাব, যদি আমি ইচ্ছা করেই সন্তুষ্ট না হই তাহলে দুনিয়ার সকল মানুষ সঠিক উত্তর বললেও তো কাজ হবেনা । শর্তে বলে দেয়া আছে আমাকে প্রশ্নের উত্তরটা খুশী করতে হবে এখানে উত্তর সঠিক হওয়া টা গুরুত্বপূর্ণ না । রাজা আরও বললেন আমার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে তো সবাই মিত্র সো আর কি করা যুদ্ধ নাই তাই অলস সময় পার হচ্ছে তাই ভাবলাম আমার দেশের কতজন ছেলে আছে গণনা করে রাখি ।
এবারতো রাজার কথা শুনে মন্ত্রী বোকা হয়ে গেল !!!!
মোড়াল হল লোকে রা যতই আমাকে বুঝাক না কেন আমি যদি নিজের চিন্তাভাবনা আগে থেকেই ফিক্সড করে রাখি তাহলে তো আর আমাকে কেউ তার সিদ্ধান্তে রাজি করাতে পারবেনা ।
ঠিক একই রকম করে জবের ইন্টারভিউতে ও যদি বস আপনাকে না নেয় আপনার কি কিছু করার আছে বলুন সো ☑নার্ভাস হবেন না। তাই ভাইভা বোর্ডে যাওয়ার আগে এটা মাথায় রাখবেন টেনশন করে কোন লাভ নাই আপনি প্রশ্নের উত্তর সব জানবেন বলে তো কোন কথা নাই আপনি তো সুপার কম্পিউটার না এটা কিন্তু বস ও জানে । তাই না পারলেও স্বাভাবিক থাকবেন শুধু শুধু ইচ্ছা করেই অতিরিক্ত টেনশনে ঘাম ছুটানোর কোন মানে হয়না , চাকুরী নাহলে হবেনা তাই বলে জীবন তো আর থেমে থাকবেনা হয়তো অন্য কোথাও আরও ভালো জব হবে ।
যারা এই কথাটা মাথায় রাখতে পারে তারাই কিন্তু রিলেক্স থাকতে পারে এবং দাবার গুটি নিজের করে নেয় ।
যারা এই কথাটা মাথায় রাখতে পারে তারাই কিন্তু রিলেক্স থাকতে পারে এবং দাবার গুটি নিজের করে নেয় ।
আরেকটা কথা হল আমরা সবাই নিজেকে বেশী হাইলাইট করার চেষ্টা করি বিশেষ করে যারা ফ্রেশার তাদের মধ্যে এই প্রবণতা টা বেশী । যেমন বলি আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হল আজকে ভাইভা বোর্ডে আসার আগে সকালে কি দিয়ে খেয়ে এসেছেন? অনেকে তখন নিজেকে হাইলাইট করার জন্য যদি সকালে শুধু ডিম দিয়ে খেয়ে আসে তারপরও বলে যে স্যার আমি খাসির মাংস দিয়ে ব্রেকফাস্ট করেছি( অথচ তিনি ব্যাচেলর) । তখন কিন্তু আপনাকে যদি আস্ক করে আচ্ছা বলুন তো খাসির মাংস কিভাবে রান্না করে তখন আর বলতে পারলেন না তখন আপনার প্রতি উনাদের আগ্রহ কমে যাবে বাট আপনি সত্যি কথাটাই যদি বলতেন যে স্যার আমি সকালে ১ টা ডিম মামলেট করে খেয়েছি তখন স্যার যদি বলে যে আচ্ছা বলুন তো ডিম কিভাবে মামলেট করে তখন কিন্তু এটা আপনার জন্য ইজি এই মুহূর্তে আপনি সুযোগ পেয়ে গেলেন বসকে কৌশলে আপনার বুদ্ধির জালে জড়ানোর । যেহেতু আপনি ডিম ভাজি পারেন তখন আপনি বলবেন স্যার ১মে অমুক অমুক দিয়ে এভাবে এভাবে ডিম রান্না করে এছাড়া আপনি চাইলে আপনাকে আমি আরও ১০ রকমের ডিম রান্নার কথা বলতে পারি তখন স্যার বলবে আচ্ছা শুনি।
উপরোক্ত গল্পটা হল রুপক হিসেবে ডিমের/খাসির মাংসের কথা বলা হয়েছে । এটার মূল বিষয় হল অনেকে ভাইভা বোর্ডে বলে নিজে হাইলাইট করে স্যার এইটা পারি ওইটা পারি তখন কিন্তু আপনাকে ভালভাবেই ধরবে যে আপনি আসলে কি পারেন !!!!
মনে রাখবেন প্রশ্ন তাকেই বেশী করা হয় যে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে তাকে এইজন্যই বেশী প্রশ্ন করা হয় যে সে এত পারে কেন? (মানে আটকানোর জন্য) আবার যারা পারেনা তাদের কেউ বেশী প্রশ্ন করা হয় এইজন্যই যে সে পারেনা কেন ?
আর মাঝামাঝি পয়েন্টে যারা থাকে তাদেরকেই সিম্পল প্রশ্ন করা হয় কারণ সে নিজেকে বেশী হাইলাইট করছেনা(মানে সে বেশী বাড়িয়ে কথা বলছেনা) সে খুব স্বাভাবিক ভাবেই চেষ্টা করছে প্রশ্নের উত্তর টা না পারলেও এটা বলে না যে, স্যার আমি পারি না বরং এটা বলে স্যার এই টার্ম টা আমি জানতাম বাট এই মুহূর্তে মনে করতে পারছিনা তখন স্যার কিন্তু আপনাকে কিছু ক্লু দেয়ার চেষ্টা করবে নয়ত বিষয়টা আপনি না পারলেও পজিটিভভাবে নেয়ার চেষ্টা করবে।
কর্পোরেটে জবের ক্ষেত্রে আপনাকে বিসিএস প্রশ্নের মত এটা কত সালে ওইটা কত সালে , অমুক বইয়ের তমুক লেখকের উপন্যাস এর চরিত্রের নাম কি বলেন এমন Factual Knowledge Type প্রশ্ন করবেনা । কারণ এসব প্রশ্ন পেরেও প্রতিষ্ঠানের কোন ফায়দা নাই(এসব প্রশ্ন ১ টা ক্লাস ৮ এর বাচ্চাও google এ সার্চ দিয়ে বলতে পারে ।
আপনাকে প্রশ্ন করা হবে (Qualitative Question) বিভিন্ন সমস্যা আপনার সামনে তুলে ধরা হবে সেটা আপনি কিভাবে সমাধান করবেন এটার আপনার মত করে যুক্তি দিতে বলবে ।
একটা জিনিস মাথায় রাখবেন বিবিএ/এমবিএ পড়ার উদ্দেশ্য শুধু মুখস্ত থিউরি/ একগাদা ম্যাথ করা না। এটা এই উদ্দেশেই পড়ানো হয় যে আপনি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার, সিইও,বস হলে আপনি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সমস্যা গুলো সমাধান কিভাবে করতে পারবেন/করবেন (মানে ডিসিশন মেকিং) ।
পাবলিক ইউনিভার্সিটির টিচার রা সবসময় বলে যে দেখ আমরা কিন্তু তোমাদের বই মুখস্ত করে পরিক্ষায় লেখাটা পছন্দ করিনা/ভুরি ভুরি পেজ লিখলে আমাদের বিরক্তি লাগে তার চেয়ে বরং তুমি কি বুঝেছ সেই কনসেপ্ট টার নিজের একটা সংজ্ঞা বইয়ের মূল টপিকের সাথে মিলিয়ে এবং ১টা উদাহরণ দিও কারণ অনেকেই ইংরেজি আমাদের মাতৃভাষা না হওয়ার কারণে সংজ্ঞা টা সুন্দর করে দিতে পারে না কিন্তু তার কনসেপ্ট ক্লিয়ার তখন সে কিন্তু সেটা উদাহরণ দিয়ে বুঝাতে পারছে তখন কিন্তু ফুল মার্কস দেয়া হয় এইজন্যই যে সে কনসেপ্ট বুঝতে পেরেছে ।
যেমন ধরুন পরিক্ষায় প্রশ্নে দেয়া হল Contract manufacturing কি? তখন আপনি দেখা গেল বিষয়টা জানেন বাট বইয়ের ভাষায় গুরুগম্ভীর শব্দ চয়ন করে লিখতে ভুল করে ফেলেছেন তখন আপনি সংজ্ঞা ভুল হলেও পরে উদাহরণ দিয়ে এটা বুঝাতে পারেন যে যখন কোন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি তারা নতুন নতুন প্রোডাক্ট বাজারে নিয়ে আসার জন্য গবেষণায় মনোযোগ দিতে নিজেরাই পণ্য টা উৎপাদন না করে Outsourcing এ গিয়ে অন্য কোন দেশের Third party কোম্পানি কে তাদের পণ্য উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট একটি চুক্তি করে সেটাই কন্ট্রাক্ট মেনুফেকচারিং উদাহরণ- Nike/addidas তাদের এথলেটিক্সের পণ্য গুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন গার্মেন্টসে প্রস্তুত করে থাকে । আমাদের ১ জন ফ্রেন্ড ছিল তার কাছ থেকেই ফার্স্ট শিখেছিলাম কিভাবে ক্লাসে ১০০% উপস্থিত থেকে না পড়েও পরীক্ষার আগে পড়ে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট পাওয়া যায় এক হল সুন্দর হাতের লেখা এবং সে বেশী কিছু লিখবেনা বাট ক্লাসে শতভাগ মনোযোগ দেয়ার কারণে তার প্রতিটা কনসেপ্ট ক্লিয়ার যার কারণে সে মুখস্ত পারেনা বাট প্রত্যেকটার এত সুন্দর সুন্দর যুক্তিযুক্ত উদাহরণ দেয় যে সে নাম্বার পাবেই মাস্ট ইভেন সে ভাইভা তেও সেম কাজ টাই করে ।
উপরোক্ত গল্পটা হল রুপক হিসেবে ডিমের/খাসির মাংসের কথা বলা হয়েছে । এটার মূল বিষয় হল অনেকে ভাইভা বোর্ডে বলে নিজে হাইলাইট করে স্যার এইটা পারি ওইটা পারি তখন কিন্তু আপনাকে ভালভাবেই ধরবে যে আপনি আসলে কি পারেন !!!!
মনে রাখবেন প্রশ্ন তাকেই বেশী করা হয় যে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে তাকে এইজন্যই বেশী প্রশ্ন করা হয় যে সে এত পারে কেন? (মানে আটকানোর জন্য) আবার যারা পারেনা তাদের কেউ বেশী প্রশ্ন করা হয় এইজন্যই যে সে পারেনা কেন ?
আর মাঝামাঝি পয়েন্টে যারা থাকে তাদেরকেই সিম্পল প্রশ্ন করা হয় কারণ সে নিজেকে বেশী হাইলাইট করছেনা(মানে সে বেশী বাড়িয়ে কথা বলছেনা) সে খুব স্বাভাবিক ভাবেই চেষ্টা করছে প্রশ্নের উত্তর টা না পারলেও এটা বলে না যে, স্যার আমি পারি না বরং এটা বলে স্যার এই টার্ম টা আমি জানতাম বাট এই মুহূর্তে মনে করতে পারছিনা তখন স্যার কিন্তু আপনাকে কিছু ক্লু দেয়ার চেষ্টা করবে নয়ত বিষয়টা আপনি না পারলেও পজিটিভভাবে নেয়ার চেষ্টা করবে।
কর্পোরেটে জবের ক্ষেত্রে আপনাকে বিসিএস প্রশ্নের মত এটা কত সালে ওইটা কত সালে , অমুক বইয়ের তমুক লেখকের উপন্যাস এর চরিত্রের নাম কি বলেন এমন Factual Knowledge Type প্রশ্ন করবেনা । কারণ এসব প্রশ্ন পেরেও প্রতিষ্ঠানের কোন ফায়দা নাই(এসব প্রশ্ন ১ টা ক্লাস ৮ এর বাচ্চাও google এ সার্চ দিয়ে বলতে পারে ।
আপনাকে প্রশ্ন করা হবে (Qualitative Question) বিভিন্ন সমস্যা আপনার সামনে তুলে ধরা হবে সেটা আপনি কিভাবে সমাধান করবেন এটার আপনার মত করে যুক্তি দিতে বলবে ।
একটা জিনিস মাথায় রাখবেন বিবিএ/এমবিএ পড়ার উদ্দেশ্য শুধু মুখস্ত থিউরি/ একগাদা ম্যাথ করা না। এটা এই উদ্দেশেই পড়ানো হয় যে আপনি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার, সিইও,বস হলে আপনি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সমস্যা গুলো সমাধান কিভাবে করতে পারবেন/করবেন (মানে ডিসিশন মেকিং) ।
পাবলিক ইউনিভার্সিটির টিচার রা সবসময় বলে যে দেখ আমরা কিন্তু তোমাদের বই মুখস্ত করে পরিক্ষায় লেখাটা পছন্দ করিনা/ভুরি ভুরি পেজ লিখলে আমাদের বিরক্তি লাগে তার চেয়ে বরং তুমি কি বুঝেছ সেই কনসেপ্ট টার নিজের একটা সংজ্ঞা বইয়ের মূল টপিকের সাথে মিলিয়ে এবং ১টা উদাহরণ দিও কারণ অনেকেই ইংরেজি আমাদের মাতৃভাষা না হওয়ার কারণে সংজ্ঞা টা সুন্দর করে দিতে পারে না কিন্তু তার কনসেপ্ট ক্লিয়ার তখন সে কিন্তু সেটা উদাহরণ দিয়ে বুঝাতে পারছে তখন কিন্তু ফুল মার্কস দেয়া হয় এইজন্যই যে সে কনসেপ্ট বুঝতে পেরেছে ।
যেমন ধরুন পরিক্ষায় প্রশ্নে দেয়া হল Contract manufacturing কি? তখন আপনি দেখা গেল বিষয়টা জানেন বাট বইয়ের ভাষায় গুরুগম্ভীর শব্দ চয়ন করে লিখতে ভুল করে ফেলেছেন তখন আপনি সংজ্ঞা ভুল হলেও পরে উদাহরণ দিয়ে এটা বুঝাতে পারেন যে যখন কোন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি তারা নতুন নতুন প্রোডাক্ট বাজারে নিয়ে আসার জন্য গবেষণায় মনোযোগ দিতে নিজেরাই পণ্য টা উৎপাদন না করে Outsourcing এ গিয়ে অন্য কোন দেশের Third party কোম্পানি কে তাদের পণ্য উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট একটি চুক্তি করে সেটাই কন্ট্রাক্ট মেনুফেকচারিং উদাহরণ- Nike/addidas তাদের এথলেটিক্সের পণ্য গুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন গার্মেন্টসে প্রস্তুত করে থাকে । আমাদের ১ জন ফ্রেন্ড ছিল তার কাছ থেকেই ফার্স্ট শিখেছিলাম কিভাবে ক্লাসে ১০০% উপস্থিত থেকে না পড়েও পরীক্ষার আগে পড়ে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট পাওয়া যায় এক হল সুন্দর হাতের লেখা এবং সে বেশী কিছু লিখবেনা বাট ক্লাসে শতভাগ মনোযোগ দেয়ার কারণে তার প্রতিটা কনসেপ্ট ক্লিয়ার যার কারণে সে মুখস্ত পারেনা বাট প্রত্যেকটার এত সুন্দর সুন্দর যুক্তিযুক্ত উদাহরণ দেয় যে সে নাম্বার পাবেই মাস্ট ইভেন সে ভাইভা তেও সেম কাজ টাই করে ।
কোথায় ছিলাম মনে আছে আমরা কিন্তু ভাইভাতে ডিসিশন মেকিং টাইপ প্রশ্নের কথা বলছিলাম নাকি গল্প শুনতে শুনতে সব ভূলে গিয়েছেন 🤣🤣🤣 ?
আপনাকে এমন কিছু বলবে যেমন-
আপনাকে যদি আমরা নিয়োগ দেই কি কি পরিবর্তন আপনি আনতে পারবেন বলে মনে করছেন?
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে আপনাকে আগে যে কম্পানির ভাইভা বোর্ডে যাচ্ছেন তাদের আদ্যোপান্ত ইন্টারনেট ঘেঁটে অথবা অন্য কোন মাধ্যমে যদি পরিচিত থাকে তাদের থেকে বিস্তারিত জেনে জাবেন , তারা কিসের ব্যবসা করে , ভিতরের প্রশাসনিক কাজ গুলো কিভাবে হয় Verticle* নাকি Horizontal*. এসব বিষয়ে ধারনা থাকলে আপনি আপনার অনার্স/মাস্টার্স এর বইয়ের বিভিন্ন থিউরি কনসেপ্ট এর আলোকে একটা নিজের মত করে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবেন । বাইরের কান্ট্রি তে যারা জব করার জন্য সেই কোম্পানি কে টার্গেট করে অন্তত ১ মাস আগে থেকে তথ্য জোগাড় করে রাখে । এছাড়া বিগত সময়ে যদি প্রতিষ্ঠানে কোন সমস্যা হয় এবং সেটা কেন হয়েছিল এসব যদি জানেন তো তখন আপনার প্রশ্নের উত্তর যদি ভূল ও হয় তারপরেও আপনার প্রতি ১ টা বসের soft Corner তৈরি হয়ে যাবে যেমন ধরুন- ১ টা মেয়েকে আপনি ভালবাসেন এবং সে কিন্তু আপনার সম্পর্কে জানেনা বাট আপনি কিন্তু তার অজান্তে সে কি ড্রেস পড়ে কোথায় থাকে তার ভাইবোন কয়টা কিসে পড়ে তার কোন বিষয়টা আপনার ভালো লাগে এবং কেন ভালো লাগে এটা যদি আপনি কখনো তার সাথে কথা বলার সুযোগ হলে যদি বলেন তখন কিন্তু আপনার প্রতি তার ১ টা সফট কর্নার অল্প হলেও তৈরি হয়ে যাবে ।এটাই হচ্ছে সাইকোলজিক্যাল ফিলসফি যেটা কিনা Organizational Behavior এবং HRM এ পড়ানো হয় ।
আপনাকে যদি আমরা নিয়োগ দেই কি কি পরিবর্তন আপনি আনতে পারবেন বলে মনে করছেন?
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে আপনাকে আগে যে কম্পানির ভাইভা বোর্ডে যাচ্ছেন তাদের আদ্যোপান্ত ইন্টারনেট ঘেঁটে অথবা অন্য কোন মাধ্যমে যদি পরিচিত থাকে তাদের থেকে বিস্তারিত জেনে জাবেন , তারা কিসের ব্যবসা করে , ভিতরের প্রশাসনিক কাজ গুলো কিভাবে হয় Verticle* নাকি Horizontal*. এসব বিষয়ে ধারনা থাকলে আপনি আপনার অনার্স/মাস্টার্স এর বইয়ের বিভিন্ন থিউরি কনসেপ্ট এর আলোকে একটা নিজের মত করে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবেন । বাইরের কান্ট্রি তে যারা জব করার জন্য সেই কোম্পানি কে টার্গেট করে অন্তত ১ মাস আগে থেকে তথ্য জোগাড় করে রাখে । এছাড়া বিগত সময়ে যদি প্রতিষ্ঠানে কোন সমস্যা হয় এবং সেটা কেন হয়েছিল এসব যদি জানেন তো তখন আপনার প্রশ্নের উত্তর যদি ভূল ও হয় তারপরেও আপনার প্রতি ১ টা বসের soft Corner তৈরি হয়ে যাবে যেমন ধরুন- ১ টা মেয়েকে আপনি ভালবাসেন এবং সে কিন্তু আপনার সম্পর্কে জানেনা বাট আপনি কিন্তু তার অজান্তে সে কি ড্রেস পড়ে কোথায় থাকে তার ভাইবোন কয়টা কিসে পড়ে তার কোন বিষয়টা আপনার ভালো লাগে এবং কেন ভালো লাগে এটা যদি আপনি কখনো তার সাথে কথা বলার সুযোগ হলে যদি বলেন তখন কিন্তু আপনার প্রতি তার ১ টা সফট কর্নার অল্প হলেও তৈরি হয়ে যাবে ।এটাই হচ্ছে সাইকোলজিক্যাল ফিলসফি যেটা কিনা Organizational Behavior এবং HRM এ পড়ানো হয় ।
এরকম আরও অনেক প্রশ্ন আছে যেমন -
১ টা কমন প্রশ্ন- আপনাকে আমরা কেন আমাদের প্রতিষ্ঠানে নিব ?
১ টা কমন প্রশ্ন- আপনাকে আমরা কেন আমাদের প্রতিষ্ঠানে নিব ?
আজ আর নয় পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে তখন আপ্নারা সবাই বিরক্ত হয়ে রিপোর্ট মেরে চলে যাবেন 😢🤣😲 । অনেক কিছুই লিখতে ইচ্ছা করে কারণ প্রেক্টিকাল লাইফটা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে বাট আমাদেরকে সঠিক বিষয় টা জানানোর সঠিক মানুষ টা নেই । আমাদের শিক্ষকদের কাজ হল কিভাবে আপনি পাস করবেন সে কাজ টা করা, তাই আমরাও পাশের জন্য পড়ি জীবনটাকে গড়ার জন্য পড়িনা
এতক্ষণ ধৈর্য ধরে এত বড় পোস্ট পড়তে পেরেছেন মানে হচ্ছে আপনি যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য আপনি যথেষ্ট ধৈর্যশীল । সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
0 মন্তব্যসমূহ